
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চাঁদ উদ্যান হাউজিং এলাকায় আল আমিন হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে ভোলা জেলার চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২ ও র্যাব-৮ এর যৌথ আভিযানিক দল।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (এএসপি) খান আসিফ তপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার (১৮ জুলাই) মামলাটি দায়ের হওয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- মো. মোশারফ হোসেন (২৬) ও মো. রিপন ওরফে গিট্টু রিপন (২৪)।
খান আসিফ তপু জানান, নিহত আল আমিন একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। শেরেবাংলা নগর এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় কিশোর গ্যাং সদস্য মান্নানকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করেছিলেন তিনি। মান্নান হচ্ছেন গ্রেফতারকৃত আসামি মোশারফের ছোট ভাই। এ কারণে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
গত বুধবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কিশোর গ্যাং লিডার মোশারফ, রিপনসহ আরও কয়েকজন আল আমিনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ধারালো সামুরাই দিয়ে আল আমিনের ডান পায়ের হাঁটুর রগ কেটে ফেলা হয় এবং ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলে তারা।
স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোশারফ ও রিপনকে নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে ভোলা জেলার চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত মোশারফ পেশায় একজন রিকশাচালক হলেও দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ছিল। তিনি মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবেও পরিচিত। একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে জামিনে বেরিয়ে পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সে।
অন্যদিকে, রিপন ওরফে গিট্টু রিপন একজন রং মিস্ত্রি হলেও মোশারফের নেতৃত্বে বিভিন্ন অপরাধে সক্রিয় ছিল বলে জানায় র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-২।