
মিরপুর, কুষ্টিয়া করেসপন্ডেন্ট |
আসন্ন ১৯ জুলাই ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য মহাসমাবেশকে সফল ও স্বাগত জানিয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা বাজারে আজ রবিবার বিকেলে এক বিশাল গণমিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মিরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশকে ঘিরে আমলা বাজারে সৃষ্টি হয় এক প্রাণবন্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ। দলীয় পতাকা, স্লোগান ও ব্যানারে সাজানো মিছিলটি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং পরবর্তীতে বাজার চত্বরে এসে এক পথসভায় পরিণত হয়।
গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন মিরপুর-ভেড়ামারা সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী, দলের কুষ্টিয়া জেলা শাখার অন্যতম মুখপাত্র ও মিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল গফুর। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, কর্মী-সমর্থক এবং স্থানীয় জনগণ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ও জনসেবামূলক কাজে পরিচিত ব্যক্তিত্ব গরিবের ডা. রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রধান বক্তা মাওলানা আব্দুল গফুর তাঁর বক্তব্যে বলেন,
“দেশ আজ গভীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, অথচ শাসকগোষ্ঠী জনগণের দুঃখ-কষ্টকে উপেক্ষা করে ক্ষমতা ধরে রাখার খেলায় মত্ত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, কল্যাণমুখী ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯ জুলাইয়ের মহাসমাবেশ হবে বাংলাদেশের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার এক ঐতিহাসিক উচ্চারণ। এই সমাবেশ শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি হবে সুশাসন ও ইসলামী মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথনির্দেশনা।”
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, “জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং ন্যায়ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জামায়াতে ইসলামী যে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা ভবিষ্যতের জন্য আশার আলোকবর্তিকা।”
অন্যান্য বক্তারাও বলেন রাজধানীর মিটফোর্ডে পাথর নিক্ষেপ করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁরা জনগণকে ১৯ জুলাই ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে জাতীয় সংকট মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
গণমিছিল ও পথসভায় অংশগ্রহণকারীরা শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীলতা বজায় রেখে কর্মসূচি সম্পন্ন করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক দৃষ্টি রাখলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কর্মসূচি শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের আয়োজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।