
নিউজ ডেস্ক, জনতারকথা, ঢাকা।
নিবন্ধন স্থগিত থাকলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক আপাতত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতীকের তফসিলে বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ।
রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনার এ বক্তব্য দেন। তিনি আরও স্পষ্ট করেন, নতুন কোনো প্রতীক—যেমন এনসিপির দাবি করা শাপলা প্রতীক—বর্তমানে তফসিলে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না।
আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত এবং তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম সীমিত হলেও, তফসিলে থাকা প্রতীক সরিয়ে নেওয়া যায় না যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হয়। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি নির্ধারিত প্রতীক সংরক্ষণ করে। তাই আপাতত নৌকা প্রতীক তফসিলে থাকছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন স্থগিত থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতীক বাতিল বা বাদ দেওয়ার বিধান নেই। চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতীক সংরক্ষণ কমিশনের নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ।
ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) চেয়েছে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হোক। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, “যেকোনো রাজনৈতিক দল তাদের পছন্দসই প্রতীক চাওয়ার অধিকার রাখে। তবে নির্বাচন কমিশনের বর্তমান তফসিলে শাপলা প্রতীক নেই। অতএব, এটি এখনই অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না।”
তিনি আরও জানান, যদি এনসিপি ভবিষ্যতে নিবন্ধনপ্রাপ্ত দল হিসেবে স্বীকৃতি পায়, তখন প্রতীক সংক্রান্ত দাবি বিশ্লেষণ করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে, রোববার সকাল ১১টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসে এনসিপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এতে উপস্থিত ছিলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বৈঠক শেষে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, “নিবন্ধন স্থগিত থাকা অবস্থায় কোনো দলের প্রতীক তফসিলে থাকা সংবিধান ও নির্বাচনী আইনের পরিপন্থী। ইসি যে প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে, সেখানে নৌকা প্রতীক বাতিলের আইনি ভিত্তি তুলে ধরেছি। সিইসি আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি পর্যালোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”