
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি।
অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে রাতেও ১৩ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে চলছে পরিবহন। এতে কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার দিবাগত মাঝরাত থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা পর্যন্ত কালিহাতীর ভাবলা থেকে টাঙ্গাই সদরের দরুন পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের খুব কষ্ট হচ্ছে।
একদিন পর ঈদ। শেষ সময়ে বাড়ি যাচ্ছে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার মানুষ। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। ফলে সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর থেকে সন্ধ্যা, এমন রাতেও ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের যানজট দূর হয়নি। এতে মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মহাসড়কে গণপরিবহনের সংকট থাকায় কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপে গন্তব্যে যাচ্ছে।
মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা বলছে, ২ ঘণ্টার সড়ক আসতে সময় লাগছে ৭ থেকে ১০ ঘণ্টা। এতে রোদ, বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
স্বাভাবিক সময়ে যমুনা সেতুতে ১৮/২০ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৫৫৭ টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে প্রায় তিন কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৫০ টাকা।
মহাসড়কের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ শরীফ মিয়া জানান, ভোরদিকে যানজট থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিক হচ্ছে। এখন চলছে তবে ধীরগতিতে।