
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নাটকীয় মোড় নিলো ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক সম্পর্ক। কর ছাড় ও ব্যয় বিল নিয়ে সমালোচনা করায় ইলন মাস্কের কোম্পানির সঙ্গে সরকারি চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এর পরপরই মার্কিন বাজারে প্রায় ১৪ শতাংশ কমেছে টেসলার শেয়ারের মূল্য। অপরদিকে চুপ থাকেননি মাস্কও। তিনি ছাড়া ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হতে পারতেন না বলে মন্তব্য করে অভিশংসনেরও দাবি তুলেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার মাস্কের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছেন, টেসলার সিইওর ওপর তিনি ‘ভীষণ হতাশ’। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর চুপ করে বসে থাকেননি মাস্ক। সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ কথার জবাব দেন তিনি। এদিকে ট্রাম্প ও মাস্কের এমন পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের পর টেসলার শেয়ারদর ব্যাপক হারে কমে গেছে।
এদিকে ইলন মাস্কও দাবি করেছেন, তাঁর সমর্থন ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হেরে যেতেন। টেসলা কর্তার দাবি, ‘সে সময়ে একটি আইন প্রণয়ন বিল নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ট্রাম্প। যে কোনও মুহূর্তে তখন পরিস্থিতি ঘুরে যেতে পারত। এই অবস্থায়, ডেমোক্র্যাটরা নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নিতে পারতেন। তাহলে রিপাবলিকানদের পিছনে ফেলে সেনেটে ৫১-৪৯ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে অসুবিধা হতো না।’ মাস্কের কথা অনুযায়ী শুধুমাত্র তার জন্যই পরিস্থিতি বদলে যায়নি।
মার্কিন প্রশাসন থেকে পদত্যাগের পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ছাড় ও ব্যয় বিল নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন ইলন মাস্ক। গত মঙ্গলবার (৩ জুন) বিলটিকে জঘন্য উল্লেখ করে তা বাতিলেও আহ্বান জানান। মাস্কের মতে, এ বিল দেশের বাজেট ঘাটতি বাড়াবে।
মাস্ককে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বললেন ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভীষণ হতাশ। কারণ, এখানে উপস্থিত অন্য যে কারও চেয়ে তিনি এই বিলের ভেতরের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ভালো জানতেন। হঠাৎ করেই এটি নিয়ে তাঁর সমস্যা শুরু হয়েছে।’ তবে ট্রাম্পের এই দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মাস্ক।
প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ইলন মাস্ক। তাঁর বিদায় উপলক্ষে ওভাল অফিসে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মাথায় কর ও ব্যয়-সংক্রান্ত বাজেট বিলকে কেন্দ্র করে তাঁদের দুজনের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিল।