
নিউজ ডেস্ক
ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক থেকে: রাত ১০ টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলো এখনও ( ভোর ৬টা) যমুনা সেতু পার হতে পারেনি। একশ কিলোমিটারের মতো পথে পাড়ি দিতে চলে গেছে ৮ ঘণ্টারও বেশি সময়।
ঢাকা থেকে যাত্রা করার পর থেকেই জ্যাম শুরু, আশুলিয়া, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর সব জায়গাতেই জটের কারণে থেমে থেমে চলেছে গাড়ি। আবার রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি হওয়ার ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। তবে খুবই ভয়াবহ অবস্থা টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত। এখানে থেমে থেমে চলছে গাড়ি। বাড়তি উপদ্রব তৈরি করেছে ফিটনেসবিহীন লক্কড় ঝক্কড় যানবাহন। এলেঙ্গা থেকে টোল প্লাজা পর্যন্ত ভিক্টর ক্ল্যাসিক, বিআরটিসির দ্বিতল বাসসহ কমপক্ষে ১২টি যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
নির্মাণ কাজের কারণে মাত্র দুই লেন সচল থাকা সড়কটিতে বিকল গাড়ি ভীষণ দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। তারচেয়েও বড় দুর্গতির কারণ হয়েছে টোল প্লাজা। এখানে রাতভরেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
যাত্রীবাহী বাসগুলো এভাবে রাস্তায় পড়ে থাকলে সিডিউল বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেছেন, সাধারণত ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় ধরে গাড়ির শিডিউল করা হয়। ঢাকা-রংপুর
রুটে চলাচলকারী একটি কোচ, ঢাকা থেকে ছেড়ে রংপুরে যাত্রী নামিয়ে ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টা বিবেচনায় শিডিউল রাখা হয়। সেখানে যমুনা সেতু পার হতেই ৮ঘণ্টা চলে গেছে স্বাভাবিকভাবেই ফিরতি ট্রিপে বিলম্ব হবে।
জটের কারণে নারী ও শিশুদের অবস্থা করুন। অনেকেই সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়েছেন, রাতের খাবার মাঝপথে (সিরাজগঞ্জ/ বগুড়া) খাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে। তাদের সারারাত গেছে অনাহারে। আবার মহিলাদের কষ্টটা একেবারেই ভিন্ন রকমের। জরুরি হলেও তারা টয়লেটে যেতে পারছেন না। সারা বিশ্বে দূরপাল্লার বাসে টয়লেট রাখা হলেও বাংলাদেশে বিষয়টি উপেক্ষিত। এক সময় কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী একটি পরিবহণ টয়লেট যুক্ত করেছিলেন। অনেকে মনে করেছিলেন তাদের দেখে অন্য পরিবহনগুলো টয়লেট চালু করবে। কিন্তু ঘটেছে উল্টো কিছুদিন চলার পর তারাই সেগুলো সরিয়ে ফেলেছেন।
আগের রাত ১০টার দিকে শ্যামলী ও কল্যাণপুরে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীর উপচে পড়া চাপ লক্ষণীয়। বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় রাস্তার উপরে ঠাঁই হয় অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। গাড়িগুলো ৩০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে ছেড়েছে।
ঈদের ছুটির আগে বুধবার (৪ জুন) সর্বশেষ কর্মদিবস ছিল, সে কারনে বুধ ও বৃহস্পতিবার যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন এসএস ট্রাভেলস কল্যাণপুর কাউন্টার ম্যানেজার নবী উল্লা ।
সড়ক বিভাগের ঈদের প্রস্তুতি সভায় জানানো হয়, গত ঈদে একদিনে সর্বোচ্চ ২৩ লাখ সিম ঢাকা ছেড়েছে। এবার ছুটির যেভাবে তাতে ৫ ও ৬ তারিখে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়বে। ওইদিনগুলোতে ৩০ লাখের মতো যাত্রী ঢাকা ছাড়তে পারে।