
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম।
ভর্তির সুযোগ পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট পেরোনো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তাদের জন্য। চোখের সামনে স্বপ্ন—কিন্তু সেই স্বপ্নে পা রাখার পথে ছিল শুধুই দারিদ্র্যের দেয়াল। হতাশা, কান্না আর নিরুপায় অবস্থায় থাকা এমন তিন তরুণের পাশে অভিভাবকের মতো দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাঈদ আল নোমান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ বিভাগ এবং সংস্কৃত বিভাগ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিন শিক্ষার্থী। কিন্তু সবার একটিই সংকট—অর্থ।
সংস্কৃত বিভাগে সুযোগ পাওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, বাবা মারা গেছেন। বাড়ির আর্থিক অবস্থা এমন, ৩০ জুনের মধ্যে ভর্তি ফি জোগাড় করতে না পারায় আমি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলাম। এমন সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার মাধ্যমে বিষয়টি সাঈদ আল নোমানের কাছে পৌঁছায়। সেখান থেকেই শুরু হয় বদলে যাওয়া গল্প।
সাঈদ আল নোমান শুধু সাহায্য পাঠিয়ে থেমে থাকেননি, তিনি সরাসরি ভর্তির প্রক্রিয়াও নিশ্চিত করেছেন। সেই শিক্ষার্থী বলেন, তিনি শুধু টাকা দেননি, বলেছেন—আমি তোমাদের অভিভাবক, সামনে কোনো সমস্যা হলে পাশে থাকব।
বাকি দুজন শিক্ষার্থীর গল্পও ভিন্ন নয়। এক জনের পরিবার দিনমজুর, আরেকজনের মা গৃহকর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে নতুন জীবন শুরু করার আগে তাদের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভর্তি ফি আর যাতায়াতের খরচ। সেই জায়গায় একজন রাজনৈতিক নেতার এমন মানবিক ভূমিকা ছিল তাদের কাছে ‘আশীর্বাদস্বরূপ’।
সাঈদ আল নোমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিক্ষার রূপান্তর নিয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সমান সুযোগ নিশ্চিত না হলে একটি জাতির টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। মেধাবী কেউ যেন শুধুমাত্র অর্থাভাবে ঝরে না পড়ে—এটাই হওয়া উচিত আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছি। যেখানেই জানি কারও সম্ভাবনা থেমে যেতে বসেছে অর্থের কারণে, চেষ্টা করি পাশে দাঁড়াতে। শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ—তাদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে একটি মানবিক, সমানতালে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ।
এই উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতারাও। তারা বলেন, একজন জাতীয় রাজনীতিক যখন শিক্ষার্থীদের এইভাবে হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যান, তখন রাজনীতির প্রতি মানুষের আস্থা আরও গভীর হয়।