
আক্তারুল ইসলাম, কুষ্টিয়া।
গত ২৪ মে অনুষ্ঠিত ৩৭তম জাতীয় সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা সুইমিং ক্লাব অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে। ক্লাবটির সাঁতারুরা মোট ৮টি স্বর্ণ, ৬টি রৌপ্য ও ১৪টি ব্রোঞ্জ পদক জয় করে বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করে। এই গৌরবোজ্জ্বল অর্জনকে স্বীকৃতি দিতে আমলা সদরপুর ক্রীড়া উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে আজ (২৮ মে) এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আমলা সদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ক্লাবের কৃতী সাঁতারু, প্রশিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমলা সদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফফার। তিনি বলেন, আমলা সুইমিং ক্লাব আমাদের অঞ্চলের গর্ব, শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সংস্কৃতির বিকাশে আমলা সদরপু ক্রীড়া উন্নয়ন সমিতি অনেক ভুমিকা পালন করে আসছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে আরও সাফল্য বয়ে নিয়ে আসবে এবং শুধু ক্লাবের নয়, পুরো আমলা সদরপুরের সহ কুষ্টিয়া জেলার অর্জন।

এই প্রতিযোগিতায় আমলা সুইমিং ক্লাবের পক্ষে আকাশ আহমেদ ৪টি স্বর্ণ ও ১টি ব্রোঞ্জ, রাব্বি হাসান ২টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্য ও ২টি ব্রোঞ্জ এবং নিঝুম আক্তার ১টি স্বর্ণ ও ১টি ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন। মোট ৯ জন সাঁতারু তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করে ক্লাবকে জাতীয় পর্যায়ে সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছে দেন।

ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাঁতার প্রশিক্ষক কামাল হোসেন এর অক্লান্ত পরিশ্রম ও নেতৃত্বেই এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাকে বিশেষ সম্মাননা জানান উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমলা জাহানারা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক তৌহিদুজ্জামান, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ফখরুল ইসলাম, আমলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক শামসুল আলম শামীম, ব্যাংক এশিয়া ও ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালক শাহ আলম, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কথা বলতে গিয়ে বলেন আমলা সদরপুর ক্রীড়া উন্নয়ন সমিতির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের সাফল্য তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করবে। আমরা ভবিষ্যতেও ক্রীড়াবিদদের পাশে থেকে এমন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমলা সুইমিং ক্লাবের সাফল্যকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা হয় এবং স্থানীয় তরুণদের মধ্যে ক্রীড়া চর্চার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে সকলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।