
জনতারকথা ডেস্ক:
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রফতানি আয় এপ্রিলে। এ মাসে রফতানি আয় ৩০১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এপ্রিলে টানা ১১ দিনের ঈদের ছুটিতে উৎপাদন বন্ধ থাকায় রফতানি আয় কমেছে। তবে, ১১ দিনের বন্ধের পরও রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৮৬ শতাংশ। পোশাকের রফতানি প্রবৃদ্ধিও ১০ শতাংশ। মে মাস থেকে রফতানি আয় স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করছেন রফতানিকারকরা।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এপ্রিল মাসের হালনাগাদ রফতানি আয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে সদ্য শেষ হওয়া মাসে রফতানি আয় কমে দাঁড়িয়েছে ৩০১ কোটি ডলারে। আগের মাসের একই সময়ে রফতানি আয় ছিল ২৯৯ কোটি ডলার। সে হিসেবে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৮৬ শতাংশ।
টানা ১০ মাসে রফতানি আয় ছাড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের একই সময়ে রফতানি আয় ছিল ৩৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রফতানি আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
ইপিবির পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিলে পোশাক খাত দেখেছে ‘সামান্য’ প্রবৃদ্ধি। এ খাতে গত মাসে রপ্তানি আয় হয় ২৩৯ কোটি ডলার; মার্চে যা ছিল ২৩৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৪২ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এপ্রিলে তৈরি পোশাক, চামড়াবিহীন জুতা, হিমায়িত খাদ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বাড়লেও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের রফতানি কমেছে। তবে পোশাক রফতানিতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার ফলে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি কাছাকাছি রয়েছে। এ মাসে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রফতানি ঋণাত্মক ধারায় গেছে।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরে এর আগে সর্বনিম্ন রফতানি আয় ছিল গত সেপ্টেম্বরে। সে মাসে আসে ৩৫২ কোটি ডলার।